জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আদায় নিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা মহেশপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানার পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খানের নির্দেশে বাসা-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। ফলে পরিষদের সদস্যরা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় সাময়িক বন্ধ রাখেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ট্যাক্স আদায়ের জন্য ইউপি সদস্যদের চাপ দেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সংরক্ষিত নারী সদস্য মিসেস রাজিয়া বেগমের স্বামী ও সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ফকির, ইউপি সদস্য আলিম মোল্যা, মিজানুর রহমান এবং ছাকায়েত মোল্যা ইউনিয়ন পরিষদে যান। ইউপি চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান লুথু তাদেরকে মা-বাবা তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং হাবিবুর রহমান ফকিরকে লাথি দেন। এক পর্যায় উপস্থিত ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের সাথে বাক-বিতন্ড ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পরিষদের সচীব, উদ্যোক্তা ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পরিষদের কক্ষে নিরাপত্তার জন্য তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত পরিবেশ শান্ত করেন।
৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমাদের এমপি মহোদয় নির্বাচনের আগে ট্যাক্স আদায় বন্ধ রাখতে বলেছেন। এরপর আমরা ট্যাক্স আদায় করা বন্ধ রাখি। আজ (মঙ্গলবার) আমরা পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান আমাদের মেম্বারদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন ট্যাক্স না উঠানোর জন্য তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে। এ সময় উপস্থিত মহিলা ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগমের স্বামী ও সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান এবং আমাদের মেম্বারদেরকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে হাবিবুর রহমানকে লাথি দেন চেয়ারম্যান। এরপর আমরা উপস্থিত মেম্বাররা চেয়ারম্যানের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান লুথু মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ট্যাক্স আদায় নিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে শুনে ঘটনাস্থলে যাই। পরে উত্তেজিত পরিবেশ শান্ত করি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
-লিয়াকত হোসেন লিংকন